মহানগরী খুলনায় আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) ছাত্রলীগ, বিএনপি-ছাত্রদল ও পুলিশের মধ্যে মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত সমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে।
বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হওয়া দফায় দফায় সংঘর্ষ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ ঘটনায় বিএনপি, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের অর্ধশতাধিকা নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ১৭জনকে আটক করেছে।
বিকালে নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়, কেডি ঘোষ রোড় ও থানার মোড় এলাকায় দফায় দফায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সংখ্যক টিয়ালসেল নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার দিকে শহীদ হাদিস পার্ক সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা ছাত্রলীগ প্রধানমন্ত্রীকে কটুক্তির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন করে। অপরদিকে থানার মোড়ে কেডি ঘোষ রোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়াকে কটুক্তির প্রতিবাদে সমাবেশের আয়োজন নগর বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষ করে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে ফিরতে আসছিল, এ সময় পিকচার প্যালেস মোড়ে ছাত্রদলের কতিপয় নেতাকর্মী হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।
নগর ও জেলা ছাত্রলীগ ঘটনার জন্য বিএনপি ও ছাত্রদলকে দায়ী করেছে। সংগঠনের জেলা সভাপতি পারভেজ আলম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে এক প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, বিএনপি-ছাত্রদল অস্ত্র, ককটেল নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে।
এতে কমপক্ষে ২০/২২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্নস্থানে চিকিৎিসা দেওয়া হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।